অনেক চেষ্টা হয়েছিল দু তরফ থেকে। কিন্তু বারবার তীরে এসে তরী ডুবে ছিল বিজেপি আর শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যকার রসায়ন। আর সোমবার তা যেন এসে পৌছালো অন্তিম পর্যায়। এদিন শোভনকে নিয়ে কলকাতায় প্রথম রোড শো করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলে আসার আমন্ত্রণ না পাওয়ার অনুপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে দেন। এরপরই শোভনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা।রবিবার রাতে এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত বারবার মনকে বুঝিয়ে মিছিল নিয়ে যেতে চেয়েছিল বিজেপির নেতৃত্বরা। কিন্তু শেষমেশ কোনো ফলই হলো না।রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়ে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় শেষ করতে হয়। আর এরপরই শোভন-বৈশাখী বিরুদ্ধে রীতিমতো ব্যবস্থা নিতে আসরে নামলো বিজেপি।




জানা গিয়েছে, মুরলীধর সেন লেনেরাজ্য বিজেপির সদরদপ্তরে বিজেপির কার্যালয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর নামে একটি ঘরও বরাদ্দ রয়েছে। এদিন শোভন-বৈশাখী মিছিলে না আসার পরই সেই ঘরে তালা পড়ে যায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সুমন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন তারা এলেন না তা আমি জানিনা।'এমনকি ঘরে তালাক প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি বলেন, 'দলীয় অফিসে কার নামে কোন ঘর রয়েছে কিনা আমার জানা নেই'। উল্লেখ্য সুমন বৈশাখীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিলীপবাবু তাদের 'ডালভাত' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পরে যদিও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সংঘাত মেটে।

কিন্তু দেড় বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত একবারের জন্যও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেননি শোভন এবং বৈশাখী। সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলা এলে তার সঙ্গে বৈঠক করেন দুজন। এরপরই শোভনকে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষকের পদে বসায় বিজেপি। বৈশাখী কে করা হয় সহ আধিকারিক। পদ্মার পারুই সুমনকে দিয়ে বড় রোড শো করানোর পরিকল্পনা করে বিজেপি। আর সেই রোড শো ছিল আজ। কিন্তু বৈশাখীর গোঁসা আর, সেই কারণে শোভনের রোড শো প্রত্যাখ্যান করা নতুন করে সংঘাতের আগুন জ্বালিয়ে দিল। আর শোভন বৈশাখী কে বার্তা দিতেই কি তাদের জন্য বরাদ্দ ঘরে তালা ঝুলানো হলো? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন